খবর প্রতিদিন

Hindenburg Research: হিন্ডেনবার্গের নতুন অভিযোগ, এবার নিশানা SEBI

১০ আগস্ট Hindenburg Research একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ফাঁস হয়ে যাওয়া কিছু নথি অনুযায়ী, সেবি চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তার স্বামী ধবল বুচের নাম আদানি গ্রুপের অর্থ পাচারের কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত কিছু অজানা প্রতিষ্ঠানে শেয়ার থাকার অভিযোগ রয়েছে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ এমন একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল যাতে ভারত সহ বিশ্ব কেঁপে উঠেছিল, যা ছিল গৌতম আদানি নিয়ন্ত্রিত আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে ছিল। এই রিপোর্টটি প্রকাশের ফলে সেইসময় আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছিল।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ, যাদের আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে উল্ল্যেখযোগ্য তথ্য ফাঁস সম্পর্কে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি রয়েছে, তারা সম্প্রতি আবারও একটি নতুন এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁসের ইঙ্গিত দিয়েছে। এইবার, তাদের অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ভারতের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ডের (SEBI) চেয়ারপার্সন মাধবী বুচ এবং তার স্বামী ধবল বুচ।

Hindenburg Research কী?

Hindenburg Research হল একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ফাইনান্সিয়াল রিসার্চ এবং শর্ট-সেলিং প্রতিষ্ঠান, যা ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির নামকরণ করা হয়েছে ১৯৩৭ সালে ঘটে যাওয়া হিন্ডেনবার্গ দুর্ঘটনার নামানুসারে, যেখানে একটি জার্মান জেপেলিন (বায়ু জাহাজ) ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ধ্বংস হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটি মূলত যেকোন কোম্পানির আর্থিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে এবং বিভিন্ন কোম্পানির আর্থিক অস্বচ্ছতা, দুর্নীতি বা প্রতারণার অভিযোগ সকলের সামনে তুলে ধরে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের কাজের মূল কৌশল হলো “শর্ট-সেলিং,” যেখানে তারা একটি কোম্পানির শেয়ারের মূল্য হ্রাসের পূর্বাভাস দেয় এবং সেই অনুযায়ী বিনিয়োগ করে লাভবান হয়। তারা সাধারণত তাদের রিপোর্টে উল্লেখ করে যে, কোনো কোম্পানির আর্থিক বিবৃতি এবং কার্যক্রমে অস্বচ্ছতা বা প্রতারণার ফাঁদ রয়েছে কিনা, যদি থাকে তবে তা শেয়ারের মূল্যে পতনের কারণ হতে পারে। এরপর, যখন শেয়ারের মূল্য হ্রাস পায়, তখন তারা শর্ট-সেলিংয়ের মাধ্যমে লাভ করে।

হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ বিভিন্ন বড় কোম্পানির বিরুদ্ধে তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে। যেমন, ২০২৩ সালে তারা ভারতীয় আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখানে তারা আদানি গ্রুপের আর্থিক অস্বচ্ছতা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগ তুলেছিল। এই রিপোর্টের ফলে আদানি গ্রুপের শেয়ারের মূল্য ব্যাপকভাবে হ্রাস পায় এবং কোম্পানিটি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চাপের মুখে পড়ে।

প্রতিষ্ঠানটি নিজেদেরকে “ফরেনসিক ফাইনান্সিয়াল রিসার্চ” প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাবি করে, যার মূল লক্ষ্য হলো বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করা এবং আর্থিক অস্বচ্ছতা ও প্রতারণার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। তাদের প্রকাশিত রিপোর্টগুলি সাধারণত বিতর্কের জন্ম দেয় এবং প্রায়ই শেয়ার বাজারে বড় ধরণের প্রভাব ফেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *